চেক ডিজঅনার হলে কি করবেন ? । চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম ।

চেক ডিজঅনার হলে কি করবেন ? । চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম ।

চেক ডিজঅনার হলে কি করবেন ? । চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম । চেক মামলার জামিন । চেকের মামলা থেকে বাচার উপায় । চেক ডিজঅনারের মামলা ২০২১ । চেক ডিজঅনারের নতুন আইন । চেক ডিজঅনার আইন ২০২১ ।
চেক ডিজঅনার হলে কি করবেন ?

 

চেক ডিজঅনার হলে কি করবেন ? । চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম । চেক মামলার জামিন । চেকের মামলা থেকে বাচার উপায় । চেক ডিজঅনারের মামলা ২০২১ । চেক ডিজঅনারের নতুন আইন । চেক ডিজঅনার আইন ২০২১ । 

 

চেক ডিজঅনার হইলে কি করিবেন?

ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকিবার কারণে চেক ডিজঅনার হওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এই ধরনের চেককে বলা হয়বাউন্সড চেক এই অপরাধের জন্য আইনি প্রতিকারের বিধান রহিয়াছে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ এর ১৩৮ নম্বর ধারা মোতাবেক ব্যাপারে আইন এর আশ্রয় নেওয়া যাইবে

আদালত:

ব্যাংক চেকের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে সংক্রান্ত ক্ষেত্রমতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করিতে হইবে চেকটি ব্যাংকের যেশাখায় ডিজঅনার হইয়াছে সেই শাখাটি যে এলাকায় অবস্থিত, সেই এলাকা যে আদালত এর এখতিয়ারের মধ্যে পড়িবে সেআদালতে মামলা দায়ের করিতে হইবে তবে, এই অপরাধের বিচার হইবে দায়রা আদালতে

মামলা দায়ের পদ্ধতি:

মামলা দায়েরের পূর্বে কতিপয় শর্ত পূরণ করিতে হইবে

প্রথমত, মেয়াদের মধ্যে চেকটি পরিশোধ এর জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করিতে হইবে চেক ইস্যুর তারিখ হইতে ছয় মাস পর্যন্ত ব্যাংক চেকের মেয়াদ থাকে, এরপর চেকটি তামাদি হইয়া যায় অর্থাৎ কার্যকারিতা হারায়

দ্বিতীয়ত, চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত তথ্য ব্যাংক থেকে প্রাপ্তির ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেক ইস্যুকারীকে চেকের অর্থ প্রদানের জন্য লিখিত দাবিনামা সংক্রান্ত নোটিস প্রেরণ করিতে হইবে চেকের প্রাপক বা যথানিয়মে ধারক এই নোটিস প্রদান আইনজীবীর মাধ্যমে প্রদান করিবেন নোটিশ প্রাপ্তির ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেক ইস্যুকারী যদি চেকের মূল্য পরিশোধে করিতে ব্যর্থ হয় তবেই হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন

তৃতীয়ত, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তারিখ থেকে ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদালতে মামলা দায়ের করিতে হইবে

নোটিশ প্রদান:

চেক ইস্যুকারীর প্রতি লিগ্যাল নোটিশ ৩(তিন) ভাবে প্রদান করা যেতে পারে;

১।চেক ইস্যুকারীকে সরাসরি তাহার হাতে নোটিশটি পৌঁছে দেওয়া যায়। 
২।প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে বাংলাদেশে তাহার সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় নোটিশ প্রেরণ করা যায়। 
৩।বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকে লিগ্যাল নোটিশটি প্রকাশ করে

কোনো কারনে যদি ১ম বার চেকটি ডিজঅনার হওয়ার পর ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে নোটিশ পাঠানো সম্ভব না হয়, তাহলে ২য় বার চেকটি পরিশোধের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করিতে  হইবে এই ভাবে একাধিকবার চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করা যাইতে পারে মনে রাখিতে হইবে, চেকটি ইস্যুর তারিখ হইতে ৬(ছয়) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পরিশোধের জন্য জমা না করিলে চেকটির কার্যকারিতা হারাইবে

কোম্পানির ক্ষেত্রে:

হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন এর ১৩৮ ধারা মোতাবেক বর্ণিত অপরাধ সংঘটনকারী যদি কোনো কোম্পানি হয় এবং সেই কোম্পানি যদি সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী বলে প্রমাণিত হয়, তাহইলে সেই অপরাধ সংঘটন এর সময় কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী হইবেন ও আইন অনুযায়ী দণ্ডিত হইবেন কোম্পানির ক্ষেত্রে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারার পাশাপাশি ১৪০ ধারার উল্লেখ করিয়া মামলা করিতে হয়।

আদালতে যা দাখিল করিতে হইবে:

মামলা দায়ের করিবার সময় আদালতে মূল চেক, চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত ব্যাংকের চিঠি বা চেক ডিজঅনা এর স্লিপ, আইজীবীর মাধ্যমে পাঠানো লিগ্যাল বা আইনি নোটিশ অথবা পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি অথবা পোস্টাল রসিদ প্রাপ্তি স্বীকার রসিদের ফটোকপি ফিরিস্তি আকারে মামলার আবেদনের সঙ্গে দাখিল করিতে হইবে

শাস্তি:

তহবিল অপর্যাপ্ততার কারণে ব্যাংক চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১(এক) বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড বা চেকে উল্লিখিত অর্থের সর্বোচ্চ ৩(তিন) গুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড বা উভয় প্রকার দণ্ডের বিধান হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনে রহিয়াছে, নগদ টাকার পরিবর্তে চেকের মাধ্যমে ঋণ বা অন্য কোনো দায়-দেনা পরিশোধকে উৎসাহিত করিবার লক্ষ্যে আইনে এই বিধান করা হইয়াছে

আপিল:

বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রহিয়াছে চেকে উল্লেখিত টাকার কমপক্ষে শতকরা ৫০(পঞ্চাশ) ভাগ যে আদালত দণ্ড প্রদান করিয়াছেন, সেই আদালতে জমা দিয়া আপিল করিতে হইবে বাংলাদেশের বিজ্ঞ আদালত গুলোতে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ এর জন্য প্রচুর মামলা মোকদ্দমা হইতেছে, শাস্তিও হইতেছে তাই সাবধান! ব্যাংক চেক দিয়ে বা এর মাধ্যমে প্রতারণার দিন শেষ

Post a Comment

0 Comments