e-TIN সার্টিফিকেট কি ভাবে করবেন । টিন সার্টিফিকেট ।

e-TIN সার্টিফিকেট কি ভাবে করবেন । টিন সার্টিফিকেট ।

e-TIN সার্টিফিকেট কি ভাবে করবেন । টিন সার্টিফিকেট । e-Tin certificate । টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম । টিন সার্টিফিকেট ফরম । টিন সার্টিফিকেট করতে কত টাকা লাগে । টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড ।
e-TIN সার্টিফিকেট কি ভাবে করবেন


 
e-TIN সার্টিফিকেট কি ভাবে করবেন । টিন সার্টিফিকেট । e-Tin certificate । টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম । টিন সার্টিফিকেট ফরম । টিন সার্টিফিকেট করতে কত টাকা লাগে । টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড ।


TIN (Taxpayer Identification Numbers) কি?

টিন সার্টিফিকেট হইতেছে একটি বিশেষ নম্বর বিশিষ্ট সার্টিফিকেট যাহা সংশ্লিষ্ট কর অফিস হইতে প্রদান করা হইয়া থাকে। কর প্রদান করা ছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে টিন সাটিফিকেট প্রয়োজন হয়। কিভাবে টিন সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট কর অফিসে নির্দিষ্ট আবেদন ফরম এর মাধ্যমে এটি নিতে পারিবেন অথবা অনলাইন হইতে E-TIN সার্টিফিকেট লইতে পারিবেন।

ই-টিন কি?

করদাতা হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজতর করিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-টিআইএন (e-TIN) রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি প্রবর্তন করিয়াছে। এই পদ্ধতিতে কয়েকটি সহজ ধাপ শেষ করিয়া অনলাইন হইতে আপনি একটি নতুন টিআইএন সার্টিফিকেট পাইতে পারেন। বর্তমানে যাদের টিআইএন রহিয়াছে, তাহাদেরকেও নতুন পদ্ধতির টিআইএন এর জন্য রি-রেজিস্ট্রেশন করিতে হইবে। e-TIN করিবার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল ফোন নম্বর এবং কোম্পানীর জন্য  RJSC এর নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হয়।


e-Tin প্রাপ্তির নিয়মঃ

নতুন পদ্ধতিতে টিআইএন রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশনের শুরুতে প্রত্যেককে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরী করিয়া নিতে হইবে। অ্যাকাউন্ট তৈরীর করিবার নিয়ম নিম্নরূপঃ-

প্রথমে https://secure.incometax.gov.bd/ ওয়েবসাইটটে প্রবেশ করিতে হইবে।

হোমপেজের Register বাটনে ক্লিক করিলে ‘রেজিস্ট্রেশন’ ফরম ওপেন হইবে। ফরম এর নির্ধারিত শুন্য স্থানগুলো পূরণ শেষে Register বাটনে ক্লিক করিতে হইবে।

ফরমে প্রদানকৃত আপনার মোবাইল নম্বরে তাৎক্ষনিকভাবে একটি কোর্ড পৌছে যাইবে। পর্দায় প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্সে মোবাইল নম্বরে প্রেরণকৃত কোডটি প্রদান করিতে হইবে, এরপর Register বাটনে ক্লিক করিলেই পর্দায় দেখিতে পাইবেন। “Welcome to Taxpayer’s Identification Number (TIN) Registration/Re- Registration”


বাংলাদেশী নাগরিক এর জন্য টিআইএন (TIN) রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিষ্ট্রেশন এর নিয়মঃ


TIN Application মেন্যুতে ক্লিক করুন, এবার Registration/Re- Registration ফরমে প্রদর্শিত শূন্যস্থান পূরণ করিয়া Go to Next চাপুন, নূতন টিন করিতে Registration বাটনে অথবা পুরাতন টিন রি-রেজিষ্ট্রেশন করিতে Re-Registration বাটনে ক্লিক করিতে হইবে।

Basic Information ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়া শূন্যস্থান পূরণ করিয়া Go to Next বাটনে ক্লিক করিতে হইবে।

Final preview তে ফরমে প্রদর্শিত আপনার দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক রহিয়াছে কিনা, তাহা শেষবারের মতো যাচাই করুন  এবং সবকিছু সঠিক থাকিলে, Final preview এর একেবারে নীচে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিন।

এরপর Submit Application বাটনে ক্লিক করিলেই রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশনকারী নতুন টিআইএন পাইবেন, তবে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী, যাহার জাতীয় পরিচিতি নম্বর নেই এবং যিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশন করিতে চান, তিনি একটি Ticket পাইবেন। Ticket প্রিন্ট করিয়া তাহাতে উল্লিখিত নিয়ম অনুসরন করিয়া টিকেটে উল্লেখিত আয়কর কার্যালয়ে যোগাযোগ করিতে হইবে।

লিমিটেড কোম্পানীসহ রেজিষ্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস (RJSC) এ রেজিষ্ট্রেশনকৃত ও  অ-রেজিস্ট্রেশনকৃত ফার্মের ক্ষেত্রে টিআইএন রেজিষ্ট্রেশন এবং রি-রেজিষ্ট্রেশনের নিয়মঃ

উপরের বর্ণিত নিয়মেই আপনার নিজের নামের জায়গায় প্রতিষ্ঠানের নাম ‍দিন, প্রতিষ্ঠানের ধরণ সিলেক্ট করে RJSC তে রেজিষ্ট্রেশনকৃত নং টি ব্যবহার করুন। Final preview তে ফরমে প্রদর্শিত আপনার দেয়া তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা, তা শেষবারের মতো যাচাই করুন । সবকিছু সঠিক থাকলে, Final preview এর একেবারে নীচে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিন। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হইলে আবেদনকারী কোম্পানী/ফার্ম নতুন টিআইন সম্বলিত সার্টিফিকেট পাইবেন।

টিন কেন প্রয়োজন?

১)পণ্য আমদানি করিবার ক্ষেত্রে আমদানিপত্র রেজিস্ট্রেশন করিবার জন্য। 
২)বিভাগীয় জেলা শহর বা পৌরসভায় হইতে ট্রেড লাইসেন্স বা এর নবায়ন করিবার জন্য। 
৩)মাল সরবরাহ, চুক্তিনামা বা অন্যান্য যে কোনো বাণিজ্যের দরপত্রের জন্য।  
৪)সাধারণ-বীমা তালিকা ভুক্ত করণ এবং লাইসেন্স নবায়ন করিবার জন্য। 
৫)১(এক) লক্ষ টাকার বেশি সিটি করর্পোরেশন ভুক্ত অঞ্চলে যে কোনো জমি অথবা ভবন রেজিস্ট্রেশন করিবার জন্য। 
৬)ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করিবার ক্ষেত্রে। 
৭)কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের জন্য। 
৮)ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য। 
৯) যদি কোনো ব্যবসায়িক সমিতির সদস্য হইতে হয় অথবা এর সদস্যপদ নবায়ন করিবার  জন্য। 
১০)আইএসডি টেলিফোন সংযোগের জন্য।
১১)মুসলিম বিবাহ ও তালাকনামা রেজিস্ট্রেশনের জন্য।
১২)কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা জমা দেওয়ার জন্য।
১৩)মটর গাড়ি বা জিপ বা মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস লাইসেন্স করিবার জন্য।
১৪)কোনো ব্যক্তির কমার্শিয়াল ব্যাংক বা লিজিং কোম্পানি হইতে ঋণ গ্রহণ বা ঋণ অনুমোদনের জন্য।

 
টিন গ্রহণকারী হিসেবে আপনার সুবিধা  
১)কর-সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে আপনি নিজেই উপস্থিত থাকিতে পারিবেন।
২)কর্তৃপক্ষ যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করিলে, আপনি তার বিপরীতে আবেদন করিবার অধিকার রাখেন।
৩)কর্তৃপক্ষ সব বিষয়ে আপনাকে তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকিবে।
৪)আপনাকে নিদিষ্ট সময় এর মধ্যে ভাউচার প্রদান করা হইবে।
৫)টিন-সংক্রান্ত যথাযথ নীতিমালা থাকায় আপনি আশঙ্কামুক্ত থাকিবেন। 
 
টিন করিবার ফলে যে বাধ্যবাধকতা পালন করিতে হইবে
১)কর প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করিতে হইবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া কর পরিশোধ করিতে হইবে। 
২)আপনার আয় দুই লাখ টাকার বেশি হইলে আপনাকে আয়ের চতুর্থাংশের এক ভাগ অগ্রিম কর প্রদান করিতে হইবে। ৩)একজন টিন গ্রহণকারীকে অবশ্যই তাহার সম্পত্তি ও এর দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিতে হইবে।
৪)আপনার ব্যক্তিগত আয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হইবে।
৫)ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য সঠিক হইতে হইবে।
৬)আপনার টিন সার্টিফিকেট অনুমোদন এবং চুক্তিনামা হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ের তথ্য আইন মোতাবেক হইতে হইবে।
৭) যদি কোন বিষয় আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত হয়, তা হইলে অবশ্যই আপনার টিন সার্টিফিকেট প্রদর্শন করিতে হইবে। 
 

Post a Comment

0 Comments